বর্ষায় ঘরকে উজ্জ্বল রাখার পাঁচটি ডেকোর আইডিয়া



 বর্ষার দিনে অনেক সময় ঘর অন্ধকার ও স্যাঁত সাথে হয়ে যায় যা আমাদের মেরাজকে প্রভাবিত করে এবং ঘরকে ভারী মনে হয়। তাই বর্ষায় ঘরকে প্রানোবন্ত ও উজ্জ্বল রাখতে প্রয়োজন কিছু সৃজনশীল পরিবর্তন। এই ব্লগে আমরা আলোচনা করব বর্ষার দিনে ঘরকে সুন্দর ও আলোয় ভরপুর রাখার পাঁচটি 

বর্ষায়-ঘরকে-উজ্জ্বল-রাখার-পাঁচটি-ডেকোর-আইডিয়া




কার্যকর আইডিয়া-রঙ্গিন পর্দার ব্যবহার, ইনডোর প্ল্যান্ট দিয়ে প্রাকৃতিক সতেজতা আনা, আলো বাড়াতে আয়নার সঠিক ব্যবহার, আরামদায়ক কুশন ও কার্পেটের সংযোজন, এবং সুগন্ধি ও মোমবাতির ছোঁয়ায় আনন্দময় পরিবেশ তৈরি করা। ছোট ছোট এই পরিবর্তনগুলো শুধু ঘরের সৌন্দর্যই বাড়াবে না বরং আপনার মন কেউ করবে প্রফুল্ল ও আরামদায়ক।


পোস্ট সূচিপত্রঃ বর্ষায় ঘরকে উজ্জ্বল রাখার পাঁচটি ডেকোর আইডিয়া

বর্ষায় মেঘলা দিনে ঘরকে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত করে তুলতে রঙ্গিন পর্দার ব্যবহার

বর্ষার সময় বাইরের আকাশ মেঘে ঢাকা থাকে এবং প্রাকৃতিক আলো কমে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে সাদা বা ধূসর রং এর পর্দা ব্যবহার করলে ঘর আরো মলিন দেখাতে পারে। এর পরিবর্তে আপনি উজ্জ্বল 


রঙের পর্দা যেমন হলুদ, লাল, কমলা বা আকাশী নীল ব্যবহার করতে পারেন। এসব রং কেবল ঘরে আলো প্রবেশ সহজ করে না, বরং মানসিকভাবে আপনাকে প্রফুল্ল রাখে। পাতলা কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করলে দিনের আলো সহজে ঘরে প্রবেশ করবে এবং ঘর উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

ইনডোর প্ল্যান্টের সবুজ সতেজতা দিয়ে বর্ষায় ঘরে প্রাকৃতিক পরিবেশ তৈরি করা


বর্ষায় আদ্রতার কারণে ঘরে অনেক সময়  স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ও ভারী পরিবেশ তৈরি হয়। এক্ষেত্রে ইনডোর প্ল্যান্ট হতে পারে সেরা সমাধান। মানিপ্লান্ট, স্নেক প্ল্যান্ট, পিস লিলি বা স্পাইডার প্লান্টের মত গাছ ঘরে 


রাখলে শুধু ঘর সতেজ হয় না, বরং বাতাসও বিশুদ্ধ থাকে। সবুজ গাছ ঘরের পরিবেশকে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর করে তোলে এবং মানসিক প্রশান্তি আনে। এছাড়া টপ বা ঝুলন্ত প্লান্টার ব্যবহার করলে ঘরের সাজসজ্জা একটি আলাদা মাত্রা যোগ হয়।

আলো প্রতিফলনের মাধ্যমে বর্ষার অন্ধকার দূর করতে আয়নার সৃজনশীল ব্যবহার

বর্ষায় সূর্যের আলো অনেক সময় ঘরে ঢোকে না, ফলেও ঘর অন্ধকারাচ্ছন্ন মনে হয়। এই সমস্যা দূর করতে আয়না ব্যবহার একটি কার্যকরী পদ্ধতি। এই সমস্যা দূর করতে আয়না ব্যবহার করা হয়। যদি জানানার বিপরীতে আয়না লাগানো হয়, তবে বাইরের যে আসুক না কেন তা ঘরের ভেতর প্রতিফলিত 


হয়ে ঘরকে আরো উজ্জ্বল করে তুলবে। এছাড়াও ছোট ছোট ওয়াল মিরর বা সাজসজ্জা জন্য ব্যবহৃত আয়নাও ঘরের সৌন্দর্য এবং আলোকে ছড়িয়ে দেয়। ভরের অন্ধকার কোনগুলোতে আয়না ব্যবহার করলে সেই স্থানগুলো প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এবং দেখতেও খুব সুন্দর লাগে এবং ঘর অনেক আলোকিত মনে হয়।

নরম ও উজ্জ্বল কুশন এবং আরামদায়ক কার্পেট দিয়ে উষ্ণতার আবহাও তৈরি করা

বর্ষার দিনে বৃষ্টি উপভোগ করতে চাইলে ঘরে আরামদায়ক পরিবেশ থাকা জরুরী। এজন্য রঙ্গিন কুশন, নরম বালিশ ও উজ্জ্বল ডিজাইনের কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ঘরকে একদিকে আরামদায়ক করে তোলে, অন্যদিকে উজ্জ্বল রঙের কারণে ও ঘর ও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। যেমনঃ নীল, 

বর্ষায়-ঘরকে-উজ্জ্বল-রাখার-পাঁচটি-ডেকোর-আইডিয়া






লাল রংয়ের কুশন এবং হালকা ডিজাইনের কার্পেট ভরের পরিবেশ কে করে তোলে আরো আকর্ষণীয়। আরামদায়ক সাজ শয্যা শুধু ডেকর নয় বরং বর্ষার দিনে আরাম করে বসে বই পড়া বা চাপান করার মুড কেউ সুন্দর করে তোলে।

সুগন্ধি, অ্যারোমা ডিফিউজার এবং মোমবাতির ছোঁয়ায় ঘরে সুখকর পরিবেশনা

বর্ষার স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়া অনেক সময় ঘরে বাজে গন্ধ আনে যা বিরক্তিকর লাগে। এ সময় ঘরে ব্যবহার করতে পারেন সুগন্ধি মোমবাতি, অ্যারোমা অয়েল ডিফ ইউজার বা এয়ার ফ্রেশনার। এগুলো 


শুধু বাজে গন্ধ দূর করবে না বরং ঘরে এনে দেবে আনন্দময় পরিবেশ। বিশেষ করে মোমবাতির হালকা আলো ঘরে রোমান্টিক আবহাওয়া তৈরি করে যা বর্ষার দিনগুলোকে আরো উপভোগ করে তুলবে।

বর্ষায়-ঘরকে-উজ্জ্বল-রাখার-পাঁচটি-ডেকোর-আইডিয়া
















বর্ষায় ঘর সাজানোর সহজ টিপস + প্রশ্নোত্তর (F &Q)

১. বর্ষায় ঘরকে উজ্জ্বল রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় কি?


উত্তর: ঘরের কোণে ছোট ছোট LED লাইট বা রঙিন বাতি লাগানো। এগুলো সহজ, সস্তা এবং ঘরকে মুহূর্তে উজ্জ্বল দেখায়।

২. ঘরে আর্দ্রতা কমানোর কার্যকর পদ্ধতি কি?


উত্তর: ছোট ডিহিউমিডিফায়ার ব্যবহার বা ঘরের জানালা নিয়মিত খোলা। এতে বাতাস প্রবাহিত হয় এবং আর্দ্রতা কমে।

৩. বর্ষায় ঘর সাজানোর জন্য কোন রঙ ব্যবহার করা ভালো?


উত্তর: হালকা পাস্টেল রঙ, যেমন লাইট ব্লু, লেবেল/পেয়ারল হলুদ বা ক্রিম। এগুলো বর্ষার মেঘলা আবহাওয়াতেও ঘরকে উজ্জ্বল দেখায়।

৪. ঘর সাজানোর জন্য কোন ধরনের গাছপালা রাখা উচিত?


উত্তর: বর্ষায় আর্দ্রতা সহ্য করতে পারে এমন ইনডোর গাছপালা যেমন স্নেক প্ল্যান্ট, পটোস বা স্পাইডার প্ল্যান্ট রাখলে ঘর সতেজ দেখায় এবং অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ায়।

৫. ঘরের জানালা সুন্দর দেখানোর সহজ উপায় কি?


উত্তর: হালকা ও আর্দ্রতা-প্রতিরোধী পর্দা ব্যবহার। পর্দার রঙ এবং নকশা এমন হওয়া উচিত যা বর্ষার মেঘলা আবহাওয়াতেও আলো প্রতিফলিত করতে সাহায্য করে।

৬. ঘরে ডেকোরেশন সামগ্রী কতটা ব্যবহার করা উচিত?


উত্তর: বেশি নয়। কম কিন্তু সৃজনশীল সামগ্রী, যেমন একটি ছোট বাতি, ফুলদানি বা হ্যান্ডমেড আইটেম ব্যবহার করলে ঘর সহজে সাজানো এবং আরামদায়ক হয়।

৭. বর্ষার সময় ঘরের বাতি বা লাইটিং কেমন হওয়া উচিত?


উত্তর: নরম ও উষ্ণ হোয়াইট লাইট ব্যবহার করলে ঘর উজ্জ্বল এবং আরামদায়ক মনে হয়।

৮. বর্ষায় ঘরে সুন্দর ও সহজ DIY আইডিয়া কি?

উত্তর: পুরনো বোতল বা কনটেইনার ব্যবহার করে ফুলদানি বা লাইট হোল্ডার বানানো। এটি সৃজনশীল, পরিবেশ বান্ধব এবং অর্থ সাশ্রয়ী।


৯. বর্ষায় ঘরের মেঝে বা কার্পেট কেমন হওয়া উচিত?

উত্তর: জলরোধী এবং দ্রুত শুকনো ম্যাট বা কার্পেট ব্যবহার করলে স্লিপেজ কমে এবং ঘর উজ্জ্বল দেখায়।

১০. বর্ষায় ঘরের বাতাসকে সতেজ রাখার সহজ উপায় কি?

উত্তর:  নিয়মিত জানালা খোলা, ঘরের এক কোণে ছোট ফ্যান চালানো এবং ইনডোর গাছপালা রাখা। এতে বাতাস প্রবাহিত হয় এবং ঘর উজ্জ্বল ও সতেজ থাকে।

লেখকের মন্তব্য

বর্ষার দিনগুলো একদিকে যেমন মনকে প্রশান্ত করে অন্যদিকে ঘরের পরিবেশ অনেক সময় অন্ধকার ও বিষন্ন করে তোলে। কিন্তু একটু সচেতন হলে এই পরিস্থিতি সহজেই পরিবর্তন করা সম্ভব রঙ্গিন পর্দা, ইনডোর প্ল্যান্ট, আলো প্রতিফলনের আয়না ও আরামদায়ক কুশন কার্পেট এবং সুগন্ধি মোমবাতির 


ছোঁয়ায় ঘর হয়ে উঠতে পারে আলো ঝলমলে ও প্রাণবন্ত। মনে রাখবেন, ঘরের পরিবেশ সরাসরি আমাদের মানসিক অবস্থা কে প্রভাবিত করে। তাই ঘরকে সাজিয়ে রাখুন এবং বর্ষার প্রতিটি দিন উপভোগ করুন নতুন এক উজ্জ্বলতার সাথে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দিয়া ক্র্যাফট হোম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়। নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url