ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে টেবিল সাজানোর কৌশল
আজকের যুগে টেবিল সাজানো মানেই নতুন নতুন জিনিস কেনার নয় বরং আমাদের আশেপাশের ব্যবহার করা বা ফেলে দেওয়া জিনিসগুলোর সৃজনশীল ব্যবহার এই আসল চ্যালেঞ্জ। ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে টেবিল সাজানোর কেবল অর্থশাস্ত্রই নয় এটি পরিবেশ রক্ষায় ও বিশেষ ভূমিকা রাখে।
সুতরাং, আমরা কিভাবে আমাদের ঘরের অপ্রয়োজনীয় বা পুরনো জিনিসগুলো ব্যবহার করে সুন্দর আকর্ষণীয় এবং ইউনিক টেবিল সাজাতে পারি তারই কিছু চমৎকার কৌশল এখানে আলোচনা করা হয়েছে। সুন্দর দেখাবে না বরং তোমার সৃজনশীলতা ও পরিবেশ সচেতনতার পরিচয় বহন করবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে টেবিল সাজানোর কৌশল
- ফেলে দেওয়া জিনিসের মধ্যে কোন গুলো টেবিল সাজানোর জন্য আদর্শ? ( পুরনো কাঁচের বোতল, কাঠের পিচ, কাপড়ের টুকরা ইত্যাদি)
- পুরনো জার ও বোতল দিয়ে টেবিল ডেকোরেশন আইডিয়া
- প্লাস্টিক ও কাগজের পুরনো জিনিস দিয়ে রঙ্গিন টেবিল ম্যাট বানানোর সহজ পদ্ধতি
- কাঠের পুরনো ফ্রেম বা প্লেট দিয়ে টেবিল কাস্টমাইজেশন
- পুতুল ছোট খেলনা বা অন্যান্য ছোট খেলনা দিয়ে টেবিল সাজানোর কৌশল
- ফেলে দেওয়া কাপড় ও সুতো দিয়ে টেবিল কভার বা রানার তৈরি করার ট্রিকস
- কাগজ ও ম্যাগাজিন পেজ রিসাইক্লিং করে ক্রিয়েটিভ টেবিল কন্টেইনার বানানো
- ফেলে দেওয়া ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ দিয়ে আধুনিক শিল্পকর্মের ছোঁয়া টেবিল সাজাতে
- পুরনো বইয়ের পাতা ব্যবহার করে ইউনিক টেবিল প্লেসমেন্ট বা ডেকোরেশন তৈরি
- রং ও পেইন্টের সাহায্যে ফেলে দেওয়া জিনিসের নতুন জীবন টেবিল সাজানোর সহজ টিপস
ফেলে দেওয়া জিনিসের মধ্যে কোনগুলো টেবিল সাজানোর জন্য আদর্শ?
আমাদের ঘরবাড়িতে অনেক সময় এমন জিনিস পড়ে থাকে যেগুলো ব্যবহার করা হয় না বা
ফেলে দেওয়ার কথা ভাবা যায় ভাবা হয়। কিন্তু সেসব জিনিসের মধ্যেই লুকিয়ে
থাকে অসাধারণ সম্ভাবনা বিশেষ করে টেবিল সাজানোর জন্য। যদি আমরা একটু কল্পনা শক্তি
ব্যবহার করি এবং সেগুলোকে সঠিকভাবে সাজাই তাহলে খুব কম খরচে নিজের টেবিলকে একদম
নতুন রূপে সাজানো সম্ভব। নিচে এমন কিছু ফেলে দেওয়া জিনিসের তালিকা দেওয়া হলো
যেগুলো টেবিল সাজানোর জন্য আদর্শ এবং সহজেই পাওয়া যায়।
১/পুরনো কাঠের বোতল ও জার
কাচের বোতল বা ছোট বড় যার সাধারণত বাড়িতে ফেলে দেওয়া হয়। এগুলোকে ফুলদানি
হিসেবে ব্যবহার করা যায় যেখানে তুমি ছোট ছোট ফুল বা ড্রাই ফলোয়ার সাজাতে পারো।
এছাড়া বোতলগুলোকে রং করে বা স্ট্রিং লাইট বসিয়ে খুব সুন্দর টেবিলে ল্যাম্পের মত
সাজানো যায়।
২/পুরনো কাঠের পিস বা টুকরা
বাড়িতে পুরনো কাঠের টুকরা বা ফেলে দেওয়া কাঠের ফ্রেম থাকলে সেগুলো টেবিল
ম্যাট বা ছোট ট্রে হিসাবে ব্যবহার করা যায়। কাঠকে পেইন্ট করে বা ভুট্টা দিয়ে
ভালোভাবে পালিশ করলে একদম ইউনিক এবং সুন্দর লুক পাওয়া যায়।
৩/পেপার রোল ও কার্ডবোর্ড
পেপার রোল ( টয়লেট পেপার, টিস্যু রোল) বা ছোট কার্ডবোর্ড টুকরা রিসাইক্লিং
করে টেবিলের জন্য প্লেন হোল্ডার বা ছোট কনটেইনার বানানো যায়। সেগুলোকে রং করে বা
কাগজে মোড়ানো হলে দেখতে দারুন লাগে।
৪/পুরনো কাপড় ও ফেব্রিকের টুকরা
ফেলে দেওয়া পুরনো জামা কাপড় কার বা অন্যান্য কাপড়ের টুকরা ব্যবহার করে টেবিল
রানার কভারের কাজ করা যায়। কাপড় কে বুনে বা সেলাই করে রঙ্গীন ও নকশাদার ফেব্রিক
পিস তৈরি করা যায়।
৫/পুরনো ম্যাগাজিন ও পেপার
ফেলে দেওয়া ম্যাগাজিন পুরনো পত্রিকা থেকে কাটাকাটি করে কাগজের ফুল ট্রে বা
প্লেসমেট বানানো যায়। কাগজের শিল্পকর্ম টেবিল সাজানোর জন্য খুবই ক্রিয়েটিভ এবং
পরিবেশবান্ধব আইডিয়া।
৬/পুরনো ছোট খেলনা ও পুতুল
বাচ্চাদের খেলে দেওয়া ছোট খেলনা বা পুতুলের অংশ টেবিলের ডেকোরেশন হিসেবে ব্যবহার
করা যেতে পারে। ছোট খেলনাগুলোকে কোলাজ বা ক্রিয়েটিভ আকারে সাজিয়ে টেবিলের উপর
রাখলে দেখতে মজার এবং ইউনিক লাগে।
৭/পুরনো ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ
ফেলে দেওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের অংশ যেমন বোর্ড,
চিপস, বাটন ইত্যাদি দিয়ে শিল্পকর্ম তৈরি করে টেবিল সাজানো যায়। এটি এক
ধরনের আধুনিক শিল্পকর্মের ছোঁয়া দেয়।
৮/পুরনো বইয়ের পাতা
বইয়ের পুরোনো পাতা ব্যবহার করে কাগজের প্লেসমেট বা কন্টেইনার তৈরি করা যায়।
বইয়ের পাতায় লেখা ও ছবি থাকায় এটি টেবিলকে এক ধরনের সাহিত্যিক রূপ দেয়।
৯/প্লাস্টিকের পুরনো বোতল ও কনটেইনার
প্লাস্টিক বোতল থেকে ছোট কনটেইনার বা পেন্ট হোল্ডার তৈরি করা যায়। বোতলগুলোকে
কাটাকাটি করে রং করলে অনেক সুন্দর দেখায়।
১০/পুরনো কাঠের ট্রে ও বাক্স
ফেলে দেওয়া বা পুরনো কাঠের ট্রে ও ছোট বাক্স টেবিল সাজানোর জন্য
অনেক উপযোগী। সেগুলোকে রং করলে বা ডেকো পাস টেকনিকে সাজালে দেখতে খুবই
আকর্ষণীয় হয়।
ফেলে দেওয়া জিনিসগুলোকে টেবিল সাজানোর কাজে লাগিয়ে আমরা পরিবেশকে রক্ষা করতে
পারি এবং একই সাথে আমাদের ঘর কেউ সুন্দর উনিকো আরামদায় করে তুলতে পারি। তাই আর
কখনোই এই ধরনের জিনিস ফেলে দিও না বরং সেগুলোকে নতুন আঙ্গিকে সাজানোর চিন্তা কর।
সৃজনশীলতা আর পরিবেশ সচেতনতার সেরা মিল এখানেই।
পুরনো জার ও বোতল দিয়ে বোতল দিয়ে টেবিল ডেকোরেশন আইডিয়া
আজকের দিনে টেবিল সাজানো মানেই ব্যয়বহুল আইটেম কেনা নয় বরং ঘরের পুরনো এবং অপব্যবহিত জিনিসগুলো দিয়ে চিরনশীলতা দেখানো হচ্ছে আধুনিক ডেকরেশনের মূল মন্ত্র। এমন এক চমৎকার উপকরণ হলো পুরনো যার ও কাচের বোতল। এই সহজলভ্য ও পরিবেশ বান্ধব উপাদান গুলো
দিয়েই তৈরি করা যায় অসাধারণ কিছু টেবিল সাজানোর আইডিয... নিচে কিছু ইউনিকও ব্যবহারিক কৌশল দেওয়া হলো যা ঘরোয়া পরিবেশ সহজেই তৈরি করা যায়।
১/কাঁচের বোতলে ফুলদানি
পুরনো কাঁচের বোতলগুলোকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে তার মধ্যে রঙ্গিন ফুল কৃত্রিম বা
প্রাকৃতিক ফুল বসিয়ে রাখলে একদমই স্টাইলিশ টাচ পাওয়া যায়। বোতলের গায়ে পেইন্ট
করে বা জুট সুতো জড়িয়ে গ্রিনটেজ লোগো দেওয়া যায়।
টিপসঃ
- বোতলের মুখে ফিতা বা গজ লাগিয়ে সাজাতে পারো।
-
ভেতরে রঙ্গিন পাথর বা কাচের টুকরা রাখলে আরও আকর্ষণীয় দেখাবে।
- জারে কিছু বালি বা নুড়ি দিয়ে তাতে টিলাইট মোমবাতি রাখো।
-
বাহিরে কাঁচে ডিজাইন করে কিংবা ডেকো পার করে আলাদা look দেওয়া যায়।
- রঙ্গিন বোতল ব্যবহার করলে আলো আরো দৃষ্টিনন্দন দেখায়।
-
বোতলের মুখে কর্ক লাগানো এলইডি লাইট ব্যবহার করো যা চার্জেবল হয়।
- বালি না থাকলে রঙ্গিন কাগজ কুচি দিয়েও এরকম আর্ট করা যায়।
- সঙ্গে ছোট শাক বা পাথর রাখলে আরো নান্দনিকতা বাড়ে।
- সাধারণ ক্যাকটাস বা বেবি সেকুলেন্ট গাছ লাগাও।
-
পানি দেওয়ার সময় সাবধানে দিও বেশি জল দিলে গাছ পচেও যেতে পারে।
- কাগজগুলো রঙ্গিন হলে দেখতে আরো আকর্ষণীয় হয়।
- বোতলের গায়ে ছোট ছোট ট্যাগ লাগিয়ে রাখতে পারো।
- যারে সুতো বা কাঠের বেদ তৈরি করে রাস্টিক ভাব দেওয়া যায়।
- কিছু অ্যাসেনশিয়াল অয়েল দিলে হালকা ঘ্রাণ ছড়ায়।
প্লাস্টিক ও কাগজের পুরনো জিনিস দিয়ে রঙ্গিন টেবিল ম্যাট বানানো সহজ পদ্ধতি
- পুরনো রঙিন ম্যাগাজিন বা পত্রিকা।
- আঠা বা ব্লু
- কাচি।
- শক্ত কাগজ বা বোর্ড।
- টেপ( চাইলে লেমিনেটেড ফিনিশ দিতে)।
-
ম্যাগাজিন বা পত্রিকার রঙ্গিন পৃষ্ঠা কেটে লম্বা করে রোল করে নাও।
- প্রতিটি রোল আঠা দিয়ে শক্ত করে বানাও।
- এবার রোল গুলো একসঙ্গে আঠা দিয়ে গোল বা আয়তাকার করে আকার দাও।
- সবগুলো রোল জোড়া দিয়ে ম্যাটের মত চ্যাপ্টা করে দাও।
- চাইলে উপরে প্লাস্টিক কাগজ দিয়ে কভার করে দাও যেন টেকসই হয়।
- বিভিন্ন রঙের পাতা ব্যবহার করলে ম্যাটটি একদম রংধনু লুক পাবে।
- রোলের আকৃতি ও দৈর্ঘ্য এক রাখলে দেখতে আরো নিখুঁত হবে।
- ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ।
- কাঁচি।
- সেলাই করার সুতা বা প্লাস্টিক দড়ি
- বড় সুঁই ।
- প্লাস্টিক ব্যাগ গুলোকে সমানভাবে কেটে পাতলা স্ক্রিপ্ট বানাও।
-
স্ক্রিপ্ট গুলোকে একটার সঙ্গে আরেকটা গিফট দিয়ে বড় সুতার মত বানাও।
-
এবার সেই স্ক্রিপ্ট দিয়ে বুনন এর মতো করে ম্যাট বানাও চাইলে আয়তাকার
বৃত্তাকার বাই স্কয়ার আকৃতি দিতে পারো।
- শেষ মাথা গুলো গুছিয়ে পেছন সেলাই বা আঠা দিয়ে আটকে দাও।
- কালার কম্বিনেশন মিলিয়ে দিলে দেখতে অনেক আকর্ষণীয় লাগবে।
- মেশিন বা হোক ব্যবহার করলে আরো নিখুঁত বোনা সম্ভব।
- পুরনো ক্যালেন্ডার বা রঙিন পোস্টার।
- কাচি।
- আঠা।
- হ্যান্ডমেড পেপার/কার্ডবোর্ড।
- প্লাস্টিক কভার বা ক্লিয়ার ফাইল।
-
ক্যালেন্ডার বা পোস্টার পেপার থেকে আকর্ষণীয় ছবি ডিজাইন বা রঙ্গিন অংশ গুলো
কেটে নাও।
-
একটি নির্দিষ্ট আকারে কোলাজ তৈরি করো হ্যান্ডমেড পেপারের উপরে।
- আঠা দিয়ে সব অংশ ভালোভাবে আটকে দাও।
-
শুকানোর পর ক্লিয়ার ফাইল বা প্লাস্টিক দিয়ে কভার করে কাচি দিয়ে মেপে কেটে
নাও।
-
চাইলে কোলা যে নিজের নাম বা বার্তা লিখে ইউনিক ম্যাট তৈরি করা যায়।
- লেমিনেশন করলে ম্যাট অনেকদিন টিকে।
- ফেলে দেওয়া পুরনো সিডি বা ডিভিডি ডিস্ক।
- রঙ্গিন কাগজ।
- কাঁচি ও আঠা।
- শক্ত পিচ বোর্ড বেস।
-
সিডি গুলোকে কেটে ছোট ছোট টুকরা বানাও ( ধীরে কেটে সাবধান থাকতে
হবে)।
- রঙ্গিন কাগজ কেটে সেগুলোর সঙ্গে সাজাও মোজাইক স্টাইলে।
- শক্ত বোর্ডের উপর সেগুলো একত্রে আঠা দিয়ে বসিয়ে দাও।
-
পুরোটা শুকিয়ে গেলে রঙ্গিন একটি ম্যাট তৈরি হবে যা টেবিলের আকর্ষণ
বাড়াবে।
- পুরনো কাগজ যেমন ম্যাগাজিন হামের কাগজ গিফট রাপ ইত্যাদি।
- স্কেল, পেন্সিল।
- আঠা।
- কাঁচি।
- কাগজ গুলো সমান প্রস্থে কাটো।
- একটি কাগজ অনুভূমিক রেখে অন্যটি লম্বালম্বিনের মত বসাও।
- শেষ হলে চারদিক গুছিয়ে নাও এবং পেছনে আরেকটি কাগজ আঠা দিয়ে লাগিয়ে দাও।
- চাইলে উপরে প্লাস্টিক কভার দিতে পারো।
কাঠের পুরনো ফ্রেম বা প্লেট দিয়ে টেবিল কাস্টমাইজেশন
- কাঠের পুরনো ফটো ফ্রেম/ট্রে/বড় প্লেট।
- কাঠ বা লোহার চারটি টেবিল পা পছন্দ অনুযায়ী ডিজাইন করা।
- স্ক্রুও স্ক্রু ড্রাইভার।
- কাঠের আঠা বা শক্তিশালী আঠা।
- স্ট্যান্ড পেপার ঘোষে মসৃণ করার জন্য।
- রং অ্যাক্রেলিক অথবা কাঠের পেইন্ট।
- ব্রাশ/স্পঞ্জ/পেইন্ট রোলার।
- পালিশ/ওয়ানিস/টেকসই করার জন্য এগুলো লাগবে।
-
ডেকোরেটিভ উপাদান যেমন ভিকু
পাজ পেপার, স্টেন্সিল, স্টিকার, রেজিন ইত্যাদি।
- টেবিল টপে কাজ বসালে ওয়াটারপ্রুফ ও স্টাইলিশ দেখায়।
- ছোট ফ্রেম হলে সাইট টেবিল হিসেবে ব্যবহার করুন।
- পেইন্ট করার আগে প্রাইমার ব্যবহার করলে রং বেশি সময় থাকবে।
- কাঠের রং ঠিক রাখতে চাইলে কেবল ওয়ার্নিশ করাই যথেষ্ট।
পুতুল ছোট খেলনা বা অন্যান্য ছোট খেলনা দিয়ে টেবিল সাজানোর কৌশল
- কাঠের বা প্লাস্টিকের পুতুল।
- ছোট কার/ট্রেন/বাস সেট।
- এনিমেল ফিগার।
- কার্টুন/সুপার হিরো ফিগার।
- ডিনার সেট/মিনিয়েচার আসবাব।
- রাবার খেলনা অথবা রঙ্গিন বল।
- লেগু বা ব্লক।
-
খেলনা যদি রঙ্গিন হয় তবে টেবিলের পেছনের ব্যাকগ্রাউন্ড রাখুন সাদামাটা।
-
নির্দিষ্ট রঙ্গের কম্বিনেশন যেমন গোলাপী -সাদা বা নীল -হলুদ ব্যবহার করলে
দেখতে আরো প্রফেশনাল লাগে।
-
পুতুল বা ছোট কার গুলো দাঁড় করাতে চাইলে হালকা আঠা বা ডাবল সাইড টেপ
ব্যবহার করতে পারেন।
- সাশ্রয়ী এবং পরিবেশ বান্ধব।
- পুরনো খেলনার পূর্ণ ব্যবহার।
- শিশুদের জন্য আনন্দদায়ক।
- ফটোজেনিক ও ইনস্টাগ্রাম যোগ্য সাজ।
- অতিথিদের জন্য আলোচনার বিষয়বস্তু।
- ফেলে দেওয়া পুরনো জামা শাড়ি কুর্তি বা পর্দার কাপড়।
- রঙ্গিন সুতো এমব্রয়ডারি সুতা উল বা লেইস।
- কাচি সেলাই মেশিন বা হাত সেলাইয়ের সরঞ্জাম।
- পরিমাপক স্কেল অথবা টেপ।
- পিন বোর্ড কার্ডবোর্ড প্যাটার্ন তৈরি করতে চাইলে।
- পছন্দ মতো ডেকোর উপকরণ যেমন বোতাম পোমপোম বা ঝালর ইত্যাদি।
- একসাথে কাঁচা যায় এমন কাপড় এই বেছে নিন যেন ধোয়া সহজ হয়।
-
যদি সেলাইয়ের দক্ষতা কম হয় তাহলে কাপড় আঠা ব্যবহার করে বর্ডার বা প্যাচ
লাগাতে পারেন।
- রানার বা কভারটি রিভারসিবল বা দুই পাশে ব্যবহারযোগ্য করে তুললে আরো ব্যবহারিক হবে।
-
মাঝে মাঝে কুশন কভার বা পদ্মার রং এর সঙ্গে মিলিয়ে নিলে ঘরে এক ধরনের
থিম তৈরি হয়।
কাগজ ও ম্যাগাজিন রিসাইক্লিং করে ক্রিয়েটিভ টেবিল কন্টেইনার বানানো
- পুরনো ম্যাগাজিন রঙ্গিন পেপার বা নিউজ পেপার।
- আঠা (পেস্ট/মড পজ) , ব্রাশ।
- কাচি।
-
খালি বোতল, যে কোন জুসের বোতলের ক্যান, কাগজের রোল, ছোট বক্স
(বেজ হিসাবে)।
- এক্রেলিক রং, গ্লিটার, ওয়াসি টেপ।
- ভার্নিশ বা মড পজ ( ফিনিশিং এর জন্য)।
- টেবিলে কলম, পেন্সি্ল, কাজি রাখার জন্য।
- মেকআপ ব্রাশ বা কসমেটিক হোল্ডার হিসেবে।
- ফুলদানি হিসেবে।
- ছোট গিফট কন্টেইনার তৈরি হিসেবে।
- রিডিং টেবিলে স্টেশনারি অর্গানাইজ করতে।
- সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব ও রিসাইকেল ফ্রেন্ডলি।
- খরচ ছাড়া সৃজনশীল কিছু তৈরি।
- ঘরের টেবিলের জন্য ইউনিক অর্গানাইজার।
- বাচ্চাদের শিক্ষামূলক ক্র্যাফট প্রজেক্ট হিসেবে উপযোগী।
- সহজেই ইনস্টাগ্রামে বা ব্লগে শেয়ার করার মতো কন্টেন্ট।
ফেলে দেওয়া ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ দিয়ে আধুনিক শিল্পকর্মের ছোঁয়ার টেবিল সাজাতে
- পুরনো কম্পিউটার, মোবাইল, রিমোট বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ
- আঠা (হট গ্লু বা সুপার গ্লু)
- কাঠ বা কার্ডবোর্ড বেস
- স্প্রে পেইন্ট (সিলভার, ব্ল্যাক, ব্রোঞ্জ ইত্যাদি)
- ছোট LED লাইট (চাইলে)
- ল্যাকার বা ক্লিয়ার ভার্নিশ
- পুরনো ঘড়ির যন্ত্রাংশ, তার, বোতাম, চিপ ইত্যাদি
- ঘরের স্টাডি টেবিলে বা ওয়ার্ক ডেস্কে রাখলে চমৎকার টেকনো আর্ট ফিল আসে
- ছোট বাটিতে যন্ত্রাংশ দিয়ে বানানো ফুল বা পেনহোল্ডার রাখলে টেবিল হয় ইউনিক
- কার্ডবোর্ড দিয়ে বানানো ফটোফ্রেমে যন্ত্রাংশ দিয়ে বর্ডার করলে আরও আকর্ষণীয় লাগে
- পুরনো RAM বা হার্ডডিস্কের ওপর নামের ট্যাগ বা মেসেজ লেখা যায়—ডেস্কে রাখার জন্য
- ইকো-ফ্রেন্ডলি: ই-ওয়েস্ট কমানো
- আধুনিক নকশা: ইন্ডাস্ট্রিয়াল বা স্টিমপাঙ্ক লুক
- কম খরচে ইউনিক ডেকোর
- শিক্ষামূলক: বাচ্চাদের ওয়ার্কশপ বা স্কুল প্রজেক্টের জন্য উপযুক্ত
পুরনো বইয়ের পাতা ব্যবহার করে ইউনিক টেবিল প্লেসমেন্ট বা ডেকোরেশন তৈরি
- পুরনো বইয়ের পাতা (সাহিত্য, উপন্যাস, কবিতা—যেটা পছন্দ)
- মোটা কাগজ বা কার্ডবোর্ড (বেস হিসেবে)
- আঠা (মড পজ বা হট গ্লু)
- ট্রান্সপারেন্ট কভারিং শিট (চাইলে)
- জলরং বা হ্যান্ডলেটারিং পেন (ডেকোরের জন্য)
- কাঁচি, স্কেল, পেইন্টব্রাশ
- কফি টেবিলে কাপ রাখার নিচে
- মোমবাতি বা ছোট পুতুল বসানোর বেস হিসেবে
- থিম অনুযায়ী কবিতার পাতায় বানানো প্লেসম্যাট
- অতিথিদের জন্য বিশেষ বার্তা লেখা নামপ্লেট
- বই প্রেমীদের টেবিল সাজাতে পারফেক্ট টাচ
- ইকো-ফ্রেন্ডলি ও বাজেট-বান্ধব
- সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ
- প্রত্যেকটি টুকরো থাকে ইউনিক
- উৎসব, ফটোশুট বা হস্তশিল্প প্রদর্শনীতে দারুণ উপযোগী
রং ও পেইন্টের সাহায্যে ফেলে দেওয়া জিনিসের নতুন জীবন টেবিল সাজানোর সহজ টিপস
- ফেলে দেওয়া কাচের বোতল, কৌটা, কাঠ বা মাটির জিনিস
- অ্যাক্রেলিক বা স্প্রে পেইন্ট (তোমার পছন্দের রঙে)
- ব্রাশ, স্পঞ্জ বা পেইন্ট রোলার
- মাস্কিং টেপ (ডিজাইন করার জন্য)
- চকলেট টিন, মোমবাতি কন্টেইনার, ছোট কাঁচের জার
- ফ্লাওয়ার বা শুকনো পাতা, স্টোন, গ্লিটার (সাজানোর জন্য)
- পুরনো গ্লাস জার
- কনডেন্সড মিল্ক বা কফির টিন
- ডেটল বোতল, অ্যালকোহল কন্টেইনার
- কাঠের বক্স, পুরনো ফ্রেম
- প্লাস্টিক ফেলে দেওয়া বালতি বা মগ
- পরিবেশবান্ধব – রিসাইক্লিং ও ওয়েস্ট মিনিমাইজেশনে সহায়ক
- বাজেট ফ্রেন্ডলি – নতুন কিছু কিনতে হবে না
- সৃজনশীলতা প্রকাশ – নিজে বানালে নিজস্ব স্বাদ আসে
- চমৎকার গিফট আইডিয়া হিসেবেও ব্যবহারযোগ্য
দিয়া ক্র্যাফট হোম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়। নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url