বাসায় থাকা জিনিস দিয়ে ওয়াল হ্যাংগার বানানোর সহজ নিয়ম
Dia
২১ মে, ২০২৫
ঘরে থাকা পুরনো কাপড়, কাঠি আর কিছু সাধারণ জিনিস দিয়ে নিজেই বানিয়ে ফেলুন একটি
সুন্দর ওয়াল হ্যাঙ্গার। ধাপে ধাপে নিয়ম দরকারি টিপস এবং স্টাইলিং আইডিয়া
সহ এই পোস্টটা পেয়ে যাবেন সবকিছু। ঘর সাজানোর সৃজনশীলতায় একদম কম খরচে ও পরিবেশ
বান্ধব উপায়ে। আপনার ঘরের কোনাকে রাঙিয়ে তুলুন নিজের হাতে বানানো একটি ইউনিক
ওয়াল হ্যাংগার দিয়ে। এই পোস্টে শিখে নিন কিভাবে শুধুমাত্র বাসায় থাকা
পুরনো টি শার্ট, উলের সুতা, কাঠি এবং ছোটখাটো জিনিস দিয়ে
সহজে তৈরি করতে পারেন একটি দারুণ ওয়াল ডেকোর পিস ধাপে ধাপে নিয়ম প্রয়োজনীয়
উপকরণের তালিকা বিভিন্ন স্টাইল ও ডিজাইনের আইডিয়া এবং রং ব্যবহারের
কার্যকর টিপস সবকিছুই দিয়ে দেওয়া রয়েছে। এই হ্যাঙ্গারটি শুধু ঘর সাজানোর
জন্যই নয় পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন এবং সৃজনশীল রিসাইকেল প্রকল্প হিসেবে অসাধারণ
একটি আইডিয়া। যারা হস্তশিল্প ভালোবাসেন বা ঘরের সাজে নিজের ছোঁয়া রাখতে চান
তাদের জন্য একটি পারফেক্ট ডিআইওয়াই গাইড এখনই পড়ে ফেলুন এবং আজই তৈরি করুন
আপনার নিজের হাতে তৈরি ওয়াল হ্যাঙ্গার।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাসায় থাকা জিনিস দিয়ে ওয়াল হ্যাংগার বানানোর সহজ নিয়ম
ওয়াল হ্যাঙ্গার একটি হস্ত নির্মিত ঘর সাজানোর উপাদান, যা সাধারণ দেয়ালে ঝুলিয়ে
রাখা হয়। এটি কেবল একটি দেকর পিস নয় বরং এটি একটি শিল্প যা আপনার রুচি
সৃজনশীলতা এবং ঘরের ভেতরের পরিবেশকে আরো উজ্জ্বল করে তোলে। প্রাচীনকাল থেকেই
মানুষ বিভিন্ন উপায়ে দেয়াল
সাজিয়ে এসেছে। কাঠ, কাপড়, সুতা, দড়ি, বা
বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এই হ্যাঙ্গার গুলো এখন আধুনিক হোম
ডেকোরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। ওয়াল হ্যাকার তৈরি করা যায়।
নানা ধরনের ডিজাইনের রঙ্গে যেমন বহোঁ স্টাইল, মিনিমাল লুক, রেইনবো
থিম বা সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব রিসাইকেল স্টাইল। এগুলো ঘরের বেডরুম,
লিভিং রুম, পড়ার ঘর এমন কি রান্নাঘরেও ব্যবহার করা যায় আলাদা একটি ফোকাল
পয়েন্ট তৈরি করতে। এই হ্যাঙ্গার শুধু ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায় না বরং এটি
একটি স্টেটমেন্ট পিচ হিসেবেও কাজ করে যা আপনার ঘরের দেয়ালে আপনার ব্যক্তিত্ব ও
কল্পনার ছাপ রেখে যায়। ওয়াল হ্যাঙ্গার মানেই হল একটি ঘর সাজানোর হাতে তৈরি
আর্ট পিস যা দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখা হয়। ঘরের নান্দনিকতা ও সৃজনশীলতা প্রকাশে
এটি অনেক সাহায্য করে।
কেন ওয়াল হ্যাঙ্গার বানাবেন?
আজকের দিনে আমরা সবাই চাই আমাদের ঘরটা শুধু বসবাসের জায়গা না হয়েই হোক আমাদের
ব্যক্তিত্বের প্রতি ছবি। আর এই কাজটা যদি হয় নিজের হাতে তৈরি কোন ঘরোয়া
শোভা সামগ্রীর মাধ্যমে তাহলে তার আনন্দ এবং গর্ব দুটোই আলাদা মাত্রা পায়। ওয়াল
হ্যাঙ্গার একটি এমন হস্তশিল্প যা খুব সহজে তৈরি করা যায় কিন্তু তার প্রভাব অনেক
গভীর। শুধু একটি সাজসজ্জা উপকরণ নয় বরং এটি হতে পারে আপনার সৃজনশীলতার প্রকাশ
মানসিক প্রশান্তির উৎস এবং পরিবেশবান্ধব চিন্তার বাস্তব প্রতিফলন। নিজে দেখা
যাক কেন আপনি আগেই একটি ওয়াল হ্যাংগার বানানো শুরু করতে পারেনঃ
সৃজনশীলতা প্রকাশের জন্যঃ
ওয়াল হ্যাংগার বানানো মানেই আপনি রং, টেক্সচার, ডিজাইন, এবং উপকরণ
নিয়ে খেলা করতে পারেন। আপনি চাইলে নিজের পছন্দ অনুযায়ী কোন থিম সাজাতে পারেন
বহু, মিনিমাল, রেইনবো, ন্যাচারাল সবই সম্ভব। এটি আপনার কল্পনা শক্তিকে
কাজে লাগানোর এক অনন্য উপায়।
শরীর সৌন্দর্য বাড়ায়ঃ
ঘরের খালি দেয়ালে একটি সুন্দর ওয়াল হ্যাংগার ঝুলিয়ে দিলে তা মুহূর্তেই ঘরের
পরিবেশ বদলে দেয়। এটি ঘরে নিয়ে আসে উষ্ণতা শিল্প এবং প্রশান্তির ছোঁয়া। ছোট
ঘরেও একটি হ্যাঙ্গার দিতে পারেন আকর্ষণীয় ফোকাল পয়েন্ট তৈরি করতে।
রিসাইকেল ও পরিবেশবান্ধব জীবনধারাঃ
বাসায় পড়ে থাকা পুরনো কাপড়, দড়ি, বোতাম, কাঠি এই জিনিসগুলোকে ফেলে
না দিয়ে কাজে লাগানোর মানেই হচ্ছে পরিবেশবান্ধব চিন্তাকে বাস্তবে রূপ
দেয়া। এটা শুধু খরচ পাতায় না বরং প্লাস্টিক ও বর্জ্য কমাতে সহায়ক।
কম খরচে ইউনিক ডেকোরেশনঃ
আপনি যদি বাজার থেকে ওয়াল ডেকোর কেনেন তার দাম হতে পারে কয়েকশো থেকে কয়েক
হাজার টাকা। অথচ ঘরে থাকা সামগ্রী দিয়ে আপনি একদম ফ্রিতে বানিয়ে নিতে পারেন
ইউনিক স্টাইলিশ ও আপনার রুচির সাথে মানানসই একটি ওয়াল হ্যাংগার। এতে আপনার ঘরের
ডেকোরেশনও যেমন সুন্দর হচ্ছে তেমনি হাজার হাজার টাকাও বেঁচে যাচ্ছে।
মানসিক প্রশান্তিঃ
নিজের হাতে কিছু বানানো মানেই কিছু সময় নিজের জন্য রাখা। নিজের মনকে ভালো রাখা
হস্তশিল্প মানসিক শান্তির জন্য দারুন উপকারী এটি মনকে শান্ত রাখে চাপ কমায় এবং
আত্মতৃপ্তি দেয়। মানসিক প্রেসার থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হচ্ছে নিজেকে ব্যস্ত
রাখা আর ব্যস্ত রাখতে চাইলে নিজেকে নিজের বানানো এইসব হস্তশিল্পের কাজে
ব্যস্ত রাখা প্রয়োজন।
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগঃ
আপনি চাইলে এই প্রজেক্টে বাচ্চাদের বা পরিবারের অন্য সদস্যদের যুক্ত করতে পারেন।
এটি হয়ে উঠতে পারে একটি মজার পারিবারিক মুহূর্ত যেখানে সবাই মিলে কিছু তৈরি করে
এবং স্মৃতি গরে।
উপহার হিসেবেও অসাধারণঃ
নিজের বানানো একটি ওয়াল হ্যাঙ্গার কাউকে উপহার দিলে তা অনেক বেশি মূল্যবান মনে
হয়। কারণ এতে থাকে আপনার সময় ভালোবাসা এবং এক টুকরো আপনার নিজস্বতা।
বাসায় থাকা উপকরণে কিভাবে সম্ভব একটি ওয়াল হ্যাঙ্গার বানানো?
অনেকেই ভাবেন ঘর সাজাতে বা হস্তশিল্প করতে হলে হয় হয়তো আলাদা
করে বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনতে হবে। কিন্তু বাস্তবে আমাদের ঘরের
প্রতিদিনকার জীবনেই এমন অনেক জিনিস আছে যেগুলো একটু কল্পনা আর যত্ন দিয়ে ব্যবহার
করলে হয়ে যেতে পারে দারুন কিছু। উদাহরণ হল ওয়াল হ্যাঙ্গার। আমরা প্রতিদিনই
কিছু না কিছু ফেলে দেই যেমন পুরনো কাপড়, ছেঁড়া টি-শার্ট,
ফাটা ওড়না, খালি সুতা, ভাঙ্গা চুরি, বোতাম, কাঠি বা ডালের
টুকরা। এগুলোর দিকে সাধারণত কেউ দ্বিতীয়বার তাকায় না। অথচ ঠিক এই জিনিসগুলো
দিয়েই আপনি বানিয়ে ফেলতে পারেন একটি দারুণ সুন্দর স্টাইলিশ এবং পরিবেশ বান্ধব
ওয়াল হ্যাঙ্গার। চলুন দেখি কোন কোন বাসার সাধারণ জিনিস ব্যবহার করা যায়?
১/পুরনো টি-শার্ট বা ওড়না দিয়ে
পুরনো টি শার্ট বা পাতলা ওড়না কেটে আপনি তৈরি করতে পারেন কাপড়ের স্ক্রিপ্ট।
এগুলোকে গুছিয়ে ঝুলিয়ে দিলে চমৎকার রং ও টেক্সচারের ওয়ালহেঙ্গার তৈরি হবে।
রঙ্গিন বা প্রিন্টেড কাপড়ের টুকরাও ব্যবহার করতে পারেন।
২/গাছের শুকনো ডাল বা কাঠি দিয়ে
বাগানে পড়ে থাকা সরল শুকনো ডাল বা নারিকেল গাছের পাতা /ডাঁটা ইত্যাদি কেউ
ব্যবহার করা যায় কাঠির জায়গায়। না থাকলে ঝাড়ুর কাঠি বা পুরনো কোন ছোট বাঁশের
টুকরাও চলবে।
৩/উলের সুতা সেলাই সুতা বা চুরির সুতা দিয়ে
কোন পুরনো সোয়েটার খুলে পাওয়া উলের সুতা কিংবা সেলাই করার সুতা এগুলো দিয়ে
হ্যাঙ্গার কে আরো মজবুত এবং রঙ্গিন করা যায়। ফেলে দেওয়া চুরির সুতা বা গহনার
সুতা যদি থাকে সেগুলো কাজে লাগানো যায়।
৪/বোতাম, পুতি, ঝুলন্ত অলংকার দিয়ে
পুরনো জামার বোতাম, ভাঙ্গা দুল, নষ্ট লকেট এসব ছোট জিনিস হ্যাঙ্গারে একটু
কৌশল জুড়ে দিলে দেখতে আরো আকর্ষণীয় লাগে। ছোট ছোট রঙ্গিন পুথি বা ঘুঙ্গুরও
ঝুলিয়ে দিতে পারেন নিচের দিকে।
৫/কাঁচি ও সুতা বাধার দড়ি দিয়ে
একজোড়া কাঁচি আর কিছু সাধারন সুতা বা জুতার দড়ি থাকলেই হ্যাঙ্গার ঝুলিয়ে
দেওয়া যাবে।
বাসায় থাকা উপকরণে হ্যাঙ্গার বানাতে চাইলে যে সব সুবিধা পাওয়া যাবে সেগুলো হল
বাজারে না গিয়েই ঘর সাজাতে পারবেন। রিসাইকেল করে নতুন কিছু তৈরি করতে পারবেন
যেটা অন্যের সাথে মিলবে না। বাচ্চাদের শেখাতে পারবেন কিভাবে জিনিসপত্রের অপচয় না
করে সেগুলোকে কাজে লাগানো যায়। অতিরিক্ত কোন খরচ নেই সবই আপনার হাতের
নাগালে।
ওয়াল হ্যাংগার বানানোর প্রয়োজনীয় উপকরণ
ওয়াল হ্যাঙ্গার বানানোর জন্য খুব বেশি কিছু লাগবে না। ঘরে থাকা অল্প কিছু সাধারণ
উপকরণই যথেষ্ট। নিচে একটি তালিকা দিয়ে দিলাম যা আপনি সহজেই জোগাড়
করতে পারবেন। মূল উপকরণঃ
একটি কাঠি(গাছের শুকনো ডাল, ঝাড়ুর কাঠি, বাঁশের ছোট টুকরা)
পুরনো টি শার্ট/ওড়না/কাপড়ের টুকরা(রঙ্গিন হলে আরো ভালো)
উলের সুতা/সেলাই সুতা(ঝোলানোর জন্য বা নকশা করার জন্য)
ছোট বোতাম, পুথি, বা ঝুলন্ত অলংকার(ডেকোরেশনের জন্য)
অতিরিক্ত উপকরণ(ঐচ্ছিক)
ইলেকট্রিক আঠা বা সুপার গ্লু মজবুতভাবে কিছু লাগানোর জন্য এগুলোর ব্যবহার
করতে হবে।
রং চাইলে কাঠি বা কাপড়ে একটু রং করতে পারেন।
ছোট ঘুঙ্গুর বা ঝিনুক ডিজাইন আলাদা করতে এটি লাগবে।
পিন বা সেলাই সুই।
কাচি সবচেয়ে জরুরী কাপড় বা সুতা কাটার জন্য।
টুলস
কাঁচি
ফিতে বা মেজারিং টেপ লম্বা মাপতে
হ্যাঙ্গার ঝোলানোর জন্য পিন বা নখ
টিপস
আপনি চাইলে নিজের মত করে নতুন কিছু যোগ করতে পারেন যেমনঃ কাগজের ফুল,
ম্যাটারাল রিং, বা ছোট মিরোর পিস।
ধাপে ধাপে ওয়াল হ্যাংগার বানানোর তৈরির প্রক্রিয়া
এই অংশটি হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এখানেই পুরো প্রক্রিয়াটা বিস্তারিতভাবে
তুলে ধরা হলো। একদম নতুন কেউ যেন বুঝতে পারেন সেভাবেই ধাপে ধাপে সাজানো হলো।
ধাপ ১ঃ ডাল প্রস্তুত করুন
একটি শুকনো কাঠি বা ডাল সংগ্রহ করুন। চাইলে সেটিকে পরিষ্কার করে হালকা রং দিয়ে
রাঙিয়ে নিতে পারেন। লম্বা ও শক্ত কাঠি নিন যাতে পুরো হ্যাঙ্গার ভারসাম্য বজায়
রাখতে পারে।
ধাপ ২ঃ কাপড় কেটে স্ক্রিপ্ট বানান
পুরনো টি শার্ট বা ওড়না থেকে সরু ও লম্বা স্ক্রিপ্ট কেটে নিন। চাইলে একাধিক রং
বা পৃন্ট ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিটি স্ক্রিপ্টের দৈর্ঘ্য সমান রাখার চেষ্টা
করুন প্রায় ১৫ থেকে ২০ ইঞ্চি রাখা ভালো হয়।
ধাপ ৩ঃ স্ক্রিপ্ট গুলো গিট দিয়ে কাঠিতে বাধুন
প্রতিটি কাপড়ের স্ক্রিপ্ট ভাঁজ করে কাঠির উপর রেখে লুপ তৈরি করে গিফট দিন। একে
একে সব স্ক্রিপ্ট কাঠিতে গিট করে ঝুলিয়ে দিন যাতে নিচের অংশে সমানভাবে
পড়ে।
ধাপ ৪ঃ সাজসজ্জা যোগ করুন
বোতাম পুঁথি ঝিনুক ঘুঙ্গুর ইত্যাদি সুতা দিয়ে ঝুলিয়ে দিন। চাইলে কিছু অংশে কাটা
কাপড়ের ফুলবাউলের বল লাগাতে পারেন।
ধাপ ৫ঃ ঝোলানোর দড়ি লাগান
কাঠির দুই পাশে সুতা বা দড়ি বেঁধে নিন যাতে এটি দেয়ালে ঝোলানো যায়। শক্তভাবে
বাধা হয়েছে কিনা তা যাচাই করে নিন।
ধাপ ৬ঃ ওয়াল হ্যাংগার ঝুলিয়ে দিন
দেয়ালের এমন একটি জায়গা বেছে নিন যেখানে আলো পড়ে যেন হ্যাঙ্গার টা ভালোভাবে
দেখা যায় একটি পিন হোক বা ছোট নখের সাহায্যে ঝুলিয়ে দিন।
এবং পরিশেষে কাজ শেষ আপনার নিজের হাতে তৈরি ওয়াল হ্যাঙ্গার এখন প্রস্তুত। এটি
এখন আপনার ঘরের সৌন্দর্য বাড়াবে এবং আপনাকে প্রতিদিন মনে করিয়ে দিবে আপনি নিজে
কিছু তৈরি করতে পারেন এবং তা অসাধারণ।
স্টাইলিশ ও ডিজাইন আইডিয়া
ওয়াল হ্যাঙ্গার শুধু জিনিসপত্র ঝুলিয়ে রাখার জন্যই নয় বরং ঘরের সৌন্দর্য
বৃদ্ধির অন্যতম একটি স্টাইলিশ উপকরণ। আপনি চাইলে ঘরের দেয়ালগুলোকে খুব সাধারন
জিনিস দিয়েই দারুন দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে পারেন। নিচে কিছু জনপ্রিয় ইউনিক ও
ট্রেন্ডি হ্যাঙ্গার ডিজাইন আইডিয়া তুলে ধরা হলো যেগুলো ঘরের যে কোন দেয়ালকে করে
তুলবে আরো আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বপূর্ণ।
বোহেমিয়ান ওয়াল হ্যাংগার আইডিয়াঃ
বহেমিয়ান স্টাইল মানেই হচ্ছে মুক্তধারা ও সৃজনশীলতার প্রকাশ। রঙ্গিন
কাপড়, সুতা, কাঠের টুকরা, ফেদার বা ঝিনুক দিয়ে তৈরি হ্যাঙ্গার গুলো
ঘরে এনে দেয় স্নিগ্ধ ও আর্টিস্টিক একটা লুক। চাইলে পুরনো স্কার্ফ ও
গ্যালারেন্ট ব্যবহার করেও বানাতে পারেন।
কিভাবে বানাবেনঃ
একটি কাঠের ডাল বা বাস কেটে নিন। এরপর রঙ্গিন উল বা সুতা দিয়ে লম্বা ঝোলানো ফিতা
বানান। মাঝেমাঝে ঝিনুক কাঠের পুঁতি বা ছোট দড়ি বাধা ঝোলানো।
মিনিমালিস্ট ওয়াল হ্যাংগারঃ
যারা কম জিনিসের বেশি সৌন্দর্য পছন্দ করেন তাদের জন্য মিনিমালিস্ট ডিজাইন
একেবারেই পারফেক্ট। একরাঙা দড়ি, সিম্পল কাঠের প্যানেল, আর কয়েকটি হুক বা
ক্লিপ দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন চমৎকার একটি হ্যাঙ্গার।
ব্যবহারঃ
কি হোল্ডার, মাক্স বা ছোট ব্যাগ ঝোলানোর জন্য আদর্শ।
ম্যাক্রামে ওয়াল হ্যাঙ্গারঃ
ম্যাক্রামে এখনকার সময় অন্যতম ট্রেন্ডি হ্যাঙ্গার ডিজাইন। দড়ি দিয়ে নানান
গাঁথুনি করে তৈরি এই হ্যাঙ্গার গুলো খুবই নজর কারা। আপনি চাইলে ইউটিউব দেখে
নিজেও শিখে নিতে পারেন সহজ কিছু ম্যাক্রামে নকশা।
রিসাইক্লড ম্যাটেরিয়াল দিয়ে হ্যাঙ্গারঃ
পুরনো কাঠি, চামচ, চাবির রিং, বোতল ক্যাপ কিংবা ফ্রেম ব্যবহার করেও খুব
সহজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন একটি ইউনিক হাঙ্গার। রং করে নিলে আরো স্টাইলিশ
দেখাবে।
গ্যালারি স্টাইল ওয়াল হ্যাঙ্গারঃ
ঘরের এক কোনায় পরিবারের ছবি প্রিয় উক্তি বা আর্টওয়ার্কের ফ্রেম ঝুলিয়ে ছোট
একটি গ্যালারি তৈরি করুন। হ্যাঙ্গার দিয়ে সাজানো হলে এটি দেয়ালের উপর
আর্টিস্টিক একটি প্রভাব ফেলে।
ন্যাচারাল উপকরণ দিয়ে হ্যাঙ্গার ডিজাইনঃ
গাছের ডাল, শুকনো পাতা, কচু পাতা, জুট দড়ি এসব প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে
বানানো হ্যাঙ্গার গুলো ঘরের পরিবেশে আনে একটি ন্যাচারাল ও ফ্রেশ অনুভূতি।
মিক্সড মিডিয়া হেঙ্গার ডিজাইনঃ
পেইন্টিং, কাপড়, কাঠ, সুতা সবকিছুই একটু একটু করে মিশালে বানান
এক্সপেরিমেন্টাল ওয়াল হ্যাংগার। এতে আপনার সৃজনশীলতা প্রকাশ পাবে এবং ঘরেরও আসবে
একটি ইউনিক টাচ।
কিডস রুমে কার্টুন/এনিমেল থিম হ্যাঙ্গারঃ
বাচ্চাদের ঘরে ওয়াল হ্যাঙ্গার হলে তা যেন হয় রঙ্গিন মজার কাঠ বা কাগজে
আঁকা কার্টুন পশুপাখির ফিগার বা বর্ণমালার ডিজাইন খুব সুন্দরভাবে ব্যবহার করা
যায়।
ওয়াল হ্যাংগার তৈরি বা ডিজাইন করার সময় নিজের ঘরের রং আলো এবং থিম মাথায় রাখলে
ফলাফল হয় অসাধারণ। আপনি চাইলে যেকোনো ঘরে খুব সহজেই আপনার ব্যক্তিত্ব অনুযায়ী
ওয়ার্ল্ড হাঙ্গার তৈরি করে নিতে পারেন আর সেটা যদি হয় নিজের হাতে বানানো তবে
সেটার একটা আলাদা ভালো লাগাতে থাকেই।
রং ব্যবহারে কিছু টিপস
ঘরকে আরো জীবন্ত প্রাণবন্ত করে তোলার জন্য ওয়াল হ্যাংকার ডিজাইন করার সময় রং এর
ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ঠিকভাবে রং বাছাই করলে আপনার হ্যান্ড
মেড। হ্যাঙ্গার হয়ে উঠবে ঘরের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। নিচে দেওয়া হল কিছু
কার্যকরী টিপস যেগুলো মেনে চললে রঙের মাধ্যমে আপনি ওয়াল হ্যাংগারকে আরো স্টাইলিশ
ও মানানসই করে তুলতে পারবেন।
ঘরের থিম ও দেয়ালের সঙ্গে মিল রেখে রং নির্বাচন করুনঃ
যদি ঘরের দেয়াল হালকা রঙের হয় যেমনঃ সাদা, হালকা ছাই, প্যাস্টেল তাহলে
আপনি ডার্ক রং ব্যবহার করতে পারেন হ্যাঙ্গারে যেমন মেরুন নেভি ব্লু বা
ফরেস্ট গ্রিন। আবার যদি দেয়াল গাঁদার রং এর হয় তবে হ্যাঙ্গার হোক হালকা
উজ্জ্বল যেমন ক্রিম , হলুদ, মিন্ত, সাদা।
প্যাস্টেল কালার প্যালেট দিয়ে স্নিগ্ধতা ও আধুনিকতাঃ
প্যাস্টেল রং যেমনঃ পিচ, মিন্ত, বেবি ব্লু, হালকা ল্যাভেন্ডার এবং ঘরের যে
কোন কোনাকে করে তোলে সফট ও মিষ্টি। বিশেষ করে বেডরুম বা স্টাডি রুমে এই ধরনের রং
খুবই উপযুক্ত।
কনট্রাস্ট রং ব্যবহার করে হ্যাঙ্গারে আনা যায় ভিজুয়াল ইন্টারেস্টঃ
একটি হ্যাঙ্গারে যদি দু তিনটি বিপরীত ধর্মী রং ব্যবহার করা যায় যেমনঃ হলুদ
ব্ল্যাক, নীল সাদা, লাল ধূসর, তাহলে সেটি সহজেই চোখে পড়ে এবং ঘরের
লোকে একটা স্পার্ক আনে।
ন্যাচারাল টোন বা আর্থি কালার দিন শান্তির অনুভূতিঃ
যেমন খয়েরি, জলপাই সবু্জ, মাটির রং, অফ হই ট এসব রং ঘরের ভেতর
প্রাকৃতিক ছোঁয়া এনে দেয়। যারা শান্ত মাটির কাছাকাছি অনুভব পছন্দ করেন তাদের
জন্য আদর্শ।
মেটালিক টাচ দিন একটু গ্ল্যাম যোগ করতেঃ
গোল্ড, সিলভার বা কপার রঙের টাচ খুব অল্প পরিমাণে দিলেও হ্যাঙ্গারে চলে আসে
রাজকীয়তা। এটা পার্টি শোন ওয়াল, ড্রয়িং রুম বা ফেস্টিভ ডেকোরেট এর জন্য
দারুন মানায়।
হ্যাঙ্গার না বানিয়ে দিন রেডিয়েন্ট বা উস্নে ইফেক্টঃ
একটি রং থেকে আরেকটিতে ধীরে ধীরে রূপান্তর এই অম্বে বা গ্রেডিয়েন্ট স্টাইল এখন
খুব জনপ্রিয়। হ্যাঙ্গারে এই ধরনের রং প্রয়োগ করলে দেখতে হবে একেবারে আর্ট
গ্যালারির মতো।
রং ব্যবহারের সময় মিডিয়াম খেয়াল রাখুনঃ
কাঠে এক্রেলিক পেইন্ট ভালো কাজ করে
ফেব্রিক ফেব্রিক পেইন্ট বা ডাই ব্যবহার করুন
প্লাস্টিকে স্প্রে পেপেন্ট বা এনামেল পেইন্ট বেশি টেকসই
সুতা বা উলের রং করা থাকলে সেটার কোয়ালিটি যেন ফেড না হয় সেটা দেখে ব্যবহার
করুন
নিজের পছন্দ ও মুড অনুযায়ী রং বাছাই করুনঃ
রঙের মানে শুধু ফ্যাশান না এটা মুড ও আবেগের প্রতিফলন। তাই নিজের পছন্দ অনুযায়ী
রং বেছে নিন যেটা দেখলেই আপনার ভালো লাগে বা শান্তি অনুভব করেন।
ওয়াল হ্যাংগারে সঠিক রং ব্যবহার শুধু সেটিকে সুন্দর করে না বরং পুরো ঘরের আবহ
বদলে দিতে পারে। রংয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার চিন্তামুড এবং স্টাইলকে ফুটে তুলতে
পারেন সহজেই।
হ্যাঙ্গার ওয়ালে ঝোলানোর পদ্ধতি
সঠিক কৌশলে দিন আপনার ঘরের নিখুত সৌন্দর্য। হ্যাঙ্গার তৈরি করেই কিন্তু কাজ শেষ
নয় সেটিকে দেয়ালে সঠিকভাবে ঝুলানো হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কারণ
হ্যাঙ্গারের অবস্থান, উচ্চতা, ভারসাম্য ও দেয়ালের ধরনের সবকিছুই ঠিকঠাক না
হলে আপনার পরিশ্রম বৃথা যেতে পারে। তাই এবার জেনে নেওয়া যাক হ্যাকার দেয়ালে
ঝুলানোর কিছু কার্যকরী ও নিরাপদ পদ্ধতি।
দেয়ালের ধরন বুঝে হ্যাঙ্গার ঝুলানঃ
প্রথমেই আপনাকে বুঝতে হবে আপনার ঘরের দেয়াল কোন ধরনের।
সিমেন্ট বা কংক্রিট দেয়ালঃ ভারী ওয়াল হ্যাঙ্গার ঝোলাতে সুবিধা।
প্লাস্টার বোর্ড/জিপসাম বোর্ডঃ হালকা হ্যাঙ্গার ঝোলানোর জন্য উপযুক্ত।
তালি বা মার্বেল দেওয়ালঃ স্ক্রু করার সময় সাবধান থাকতে হয়।
হ্যাঙ্গারের ওজন অনুযায়ী উপকরণ নির্বাচন করুনঃ
হালকা হ্যাঙ্গার(উল, সুতা, কাগজ)
ডাবল সাইট টেপ
কমান্ড হুক
স্টিকার হুক
পুশ পিন বা পেপার ক্লিপ
মাঝারি ওজনের হ্যাঙ্গার( কাঠ, ফ্রেম)
নখ বা পেরেক
ছোট স্ক্রু
অ্যাডহেসিভ হুক অবশ্যই ভালো মানের
ভারী হ্যাঙ্গার(লোহা, গ্লাস, ম্যাক্রামে)
ড্রিলদিয়ে স্ক্রু
ওয়াল এংকর
শক্তিশালী ব্র্যাকেট
উচ্চতা ও অবস্থান ঠিক করুনঃ
একটি সাধারন নিয়ম হল
হ্যাঙ্গারটি যেন চোখের সমান উচ্চতায় থাকে ( প্রায় ৫.৫ থেকে ৫.৮
ফুট)
সোফার উপর ঝুলালে নিচ থেকে অন্তত ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি ফাঁকা রাখুন
একাধিক হ্যাঙ্গার একসাথে বসালে সমান দূরত্ব বজায় রাখুন (প্রায় ২-৪ ইঞ্চি
গ্যাপ)
পরামর্শঃ
আগে কাগজে বা দেয়ালে পেন্সিল দিয়ে মার্ক করে নিন পজিশন ঠিক আছে কিনা দেখে নিন
ভুলের সম্ভাবনা কমে।
সোজা ও ভারসাম্যপূর্ণভাবে ঝুলানোর কৌশলঃ
লেভেলিং টুল ব্যবহার করুন বা মোবাইলের লেভেল অ্যাপ চালিয়ে নিশ্চিত করুন
যেন হ্যাঙ্গার একদম সোজা বসে।
দুটো হোক ব্যবহার করলে দুই পাশের উচ্চতা যেন সমান হয় তা দেখে নিন।
ভারসাম্য রাখতে নিচে ছোট উপরে ভারী অংশ রাখুন।
ভিন্নধারার ঝুলানোর কৌশলঃ
রড বা স্ট্রিং দিয়ে ঝোলানোঃ হ্যাঙ্গার কে কাপড়ের মত দড়িতে ঝুলিয়ে
দেয়ালে দুই পাশে পেরেক বা হুক লাগান। দেখতে হবে খুবই
সৃজনশীল।
ক্লিপ হ্যাঙ্গারঃ ওয়াল ক্লিপ বা ক্যাম্পের মাধ্যমে সাময়িকভাবে
ঝুলিয়ে রাখতে পারেন।
ফ্রেম বা হুক কম্বিনেশনঃ ওয়াল আর্টের সাথে মিক্স করে দিতে পারেন
দারুন গ্যালাক্সি লুক।
স্ক্রু বা পেরেক ছাড়াও ঝোলানোর স্মার্ট আইডিয়াঃ
যদি আপনি ভাড়া বাসায় থাকেন বা দেয়ালে ফুটো করতে না চান তাহলে নিজের পদ্ধতি
গুলো বেছে নিতে পারেন।
command strip/ velcro tape: ছাড়তেও সহজ দাগও পড়ে না।
over-the-door hook: দরজার উপর থেকে হ্যাঙ্গার ঝোলানো।
স্ট্যান্ডিং হ্যাং আর ফ্রেমঃ দেয়ালে না ঝুলিয়ে মেঝেতে দাঁড় করিয়ে রাখার
মত ডিজাইন।
হ্যাঙ্গার বানানোর মতোই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এটি ঠিকভাবে নিরাপদে
দেওয়ালে বসানো। কারণ এটি হ্যাঙ্গার যদি সঠিক জায়গায় সঠিক উপায়ে
ঝোলানো না হয় তবে তা দেখতে যেমন খারাপ লাগে তেমনি পড়ে গিয়েও ক্ষতির
সম্ভাবনা থাকে। তাই সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করে হ্যাঙ্গার ঝুলান এবং ঘরের
সৌন্দর্য বাড়ান নিরাপদে ভাবে।
রি সাইকেল ও পরিবেশ বান্ধব চিন্তা
ওয়াল হ্যাংগারে সাস্টেইনেবল ডিজাইন শুধু সৌন্দর্যই নয় আজকের সময়ে ঘর সাজানোর
সঙ্গে পরিবেশ সচেতনতা জড়িয়ে গেছে গভীরভাবে। একটি হ্যাঙ্গার আপনি কেমন
উপকরণ দিয়ে বাড়াচ্ছেন সেটা শুধু তার সৌন্দর্য নয় বরং পরিবেশের উপর প্রভাব
ফেলে। তাই এখন সময় এসেছে একটু ভিন্ন ভাবে ভাবার রিসাইকেল পরিবেশবান্ধব
দৃষ্টিভঙ্গিতে।
পুরনো জিনিস নতুন রূপে ব্যবহার করুনঃ
যে জিনিসগুলো আপনি ফেলে দিতে যাচ্ছিলেন সেগুলো দিয়েই হতে পারে দারুন এক ওয়াল
হ্যাঙ্গার উদাহরণস্বরূপঃ
পুরনো জামার বোতাম চেইন বা ফিতা।
পুরনো কাঠের চামচ বাড়ানোর উপকরণ।
ভাঙ্গা ছবি ফ্রেম।
পুরনো বইয়ের কাভার বা ক্যালেন্ডার।
বাদ পড়া ওড়না পরনের সুতো।
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুনঃ
প্লাস্টিক বা কেমিক্যাল যুক্ত উপাদানের বদলে বেছে নিন প্রাকৃতিক
ও বায়ো-ডিগ্রেডেবল উপকরণঃ
বাশ কচুপাতা বা খড়।
জুট দড়ি বা নারিকেল ছোবরা।
কাঠের ছোট টুকরা বা ডাল।
কাগজ বা পেপার রোল।
এই ধরনের উপাদান শুধু পরিবেশ বান্ধবি নয় বরং হ্যান্ড পেইড লুক কেউ আনে একটি
উষ্ণতা।
ক্ষতিকর রং বা আঠা এড়িয়ে চলুনঃ
অনেক সময় আমরা এমন রং বা ব্লু ব্যবহার করে যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং
দীর্ঘস্থায়ী করে তাই বেছে নিন
নন টক্সিক পেইন্ট।
ন্যাচারাল ডাই প্রাকৃতিক রং যেমন হলুদে হলুদ লাল চুতে লাল।
সেফ আঠা বা গাম যেমন ফেভিকল ইকো বা স্টার্চ বেস্ট ব্লু।
হ্যাঙ্গার বানিয়ে ফেলুন প্লাস্টিক প্রোজেক্টে অংশ নিয়েঃ
আপনার হ্যাঙ্গার যদি রিসাইকেল উপকরণ দিয়ে বানানো হয় তাহলে সেটা আপনি স্থায়ী
কোন প্লাস্টিক মুক্ত উদ্যোগে অংশ নিয়ে প্রদর্শন করতে পারেন। এতে মানুষ
অনুপ্রাণিত হবে আর আপনিও পাবেন নতুন প্লাটফর্ম।
পরিবেশবান্ধব জীবনধারার বার্তা পৌঁছে দিন হ্যাঙ্গারের মাধ্যমেঃ
আপনি চাইলে হ্যাঙ্গারে এমন উক্তি লিখে দিতে পারেন যা সচেতন তৈরি করে
"Reduce, Reuse, Recycle."
"Nature is not a place to visit. it is home."
"Craft wirh care,save with love."
এভাবে সৃজনশীলতার সাথে পরিবেশ সচেতনতার সংযোগ ঘটে যায়।রিসাইকেল এবং
পরিবেশবান্ধব চিন্তা শুধু প্রকৃতিকে ভালো রাখে না বরং আমাদের সৃজনশীলতাকে করে
তোলে আরো অর্থবহ। ঘর সাজানো মানে নতুন কিছু কেনা নয় বরং পুরনো জিনিস দিয়ে
নতুন ভাবে ভাবাই হলো আসল শিল্প। আপনার তৈরি প্রতিটি হ্যাঙ্গার হয়ে খুব
দায়িত্বশীল শিল্পকর্ম যা আপনাকেও গর্বিত করে এবং পৃথিবীকেও করে
একটু সুন্দর।
লেখক এর মন্তব্য
এই ব্লকটি আমি লিখেছি আমার নিজের ঘর সাজানোর ভালবাসা ও অভিজ্ঞতা থেকে। ছোটবেলা
থেকেই যে কোন ফেলে দেওয়া জিনিস কে নতুন করে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছি। সেই
অভ্যাস থেকে তৈরি হয়েছে আমার এই "Dia Craft Home" ব্লগের
পথচলা। শুধু একটি ঘর সাজানোর উপকরণ নয় এটা একেকটা গল্পের মত যেখানে থাকে
মনের ছোঁয়া সময়ের স্বাদ আর সৃজনশীলতার ছাপ। আমি চাই এই
লেখা পড়ে আপনি অনুপ্রাণিত হন নিজের হাতে কিছু বানাতে নিজের ঘরটাকে নিজের মতো
করে সাজাতে। পরিবেশ বান্ধব চিন্তা রিসাইকেল করা উপকরণ ব্যবহার আর মনের মত
ডিজাইন এই তিন এর সামান্যই হোক আপনার আমাদের সাজানো পৃথিবী। আপনি যদি এই
লেখায় উপকার পান অনুপ্রাণিত হন তাহলে আমার এই প্রচেষ্টা সার্থক। আপনার তৈরি
হ্যাঙ্গানের গল্প থাকলে অবশ্যই শেয়ার করবেন আমার সঙ্গে। একসাথে আমরা গড়ে
তুলতে পারি এমন একটি ঘর যেটা শুধু সুন্দর নয় বরং সচেতন।
দিয়া ক্র্যাফট হোম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়। নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url